নববধূকে ঘরে তোলা হলো না কাতার প্রবাসী তুষারের

পরিবারে সচ্ছলতা আনতে সাত বছর আগে কাতারে যান রেজুয়ানুল হক তুষার (২৫)। দীর্ঘ এই সময়ে একবারও দেশে আসেননি। ছয় মাস আগে পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনে বিয়ে করেন তুষার। কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরে ধুমধাম করে নববধূকে ঘরে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দূর পরবাসে সড়ক দুর্ঘটনায় তার ‍মৃত্যু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া বোডিং মাঠ এলাকার মৃত হামিদুল হকের ছেলে রেজুয়ানুল হক তুষার। সোমবার (০২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় কাতারের রাজধানী দোহায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন। তুষারের এমন মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তুষারের ভগ্নিপতি শাহনেওয়াজ ভূইয়া রাকিব বলেন, ‌‘তুষার বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। তার একমাত্র বোন জুঁইয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এখন জাপানে আছি। আমার শ্বশুর প্রায় আট বছর আগে মারা গেছেন। এর বছরখানেক পর মাকে বাড়িতে রেখে সংসারের হাল ধরতে তুষার কাতারে পাড়ি দেয়। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে ফুড ডেলিভারির কাজ করতো। গতকাল সকালে মোটরসাইকেলে খাবার ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তার ‍মৃত্যু হয়। সেখানে হাসপাতাল মর্গে মরদেহ রাখা আছে। মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাতারে যাওয়ার পর গত সাত বছরে একবারও দেশে আসেনি তুষার। ছয় মাস আগে আখাউড়া উপজেলার মোগড়ায় এক মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনে বিয়ে করে। কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিকভাবে নববধূকে ঘরে তোলার কথা ছিল। এরপর দেশে থেকে কাতারে না গিয়ে পোল্যান্ড পাড়ি দেওয়ার সব প্রস্তুতি ছিল তার। কিন্তু সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো।’