‘অনেক কিছু হারিয়েছি, সাত্তারের পক্ষে কাজ করলে বহিষ্কার’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার পক্ষে কাজ করলে নেতাকর্মীদের দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। একইসঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রুমিন।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে হোটেল রাজমণিতে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় নেতাকর্মীদের এসব কথা জানান তিনি।

আলোচনা সভায় অভিযোগ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে এই নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে তাকে জয়ী করতে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, আবদুস সাত্তারকে তারা দাঁড় করিয়েছে।’

বর্তমান সরকারের প্রতি দেশের এক শতাংশ জনগণের সমর্থন নেই বলেও দাবি করেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘বিএনপির পাশে দেশের ১৬ কোটি মানুষ আছে। আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি। আমাদের আর হারানোর কিছুই নেই। এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। এর বাইরে যেকোনো অবৈধ নির্বাচন আমরা জানমাল দিয়ে ঠেকাবো। এজন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’ 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয় ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নাসির মুন্সিসহ উপজেলা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই আসনে উপনির্বাচন হবে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে জয়ের পথ সহজ হয়ে গেলো সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির অন্যান্য এমপিদের সঙ্গে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। গত ২৩ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকেও পদত্যাগ করেন আবদুস সাত্তার। বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এজন্য ১ জানুয়ারি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। দল থেকে বহিষ্কারের পর ২ জানুয়ারি দুপুরে সরাইল উপজেলা বিএনপি ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে সরাইল ও আশুগঞ্জে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।