প্রেমের টানে চট্টগ্রামে আসা ভারতীয় তরুণী ফিরলেন শূন্য হাতে

প্রেমের টানে চট্টগ্রামের যুবকের কাছে এসেছিলেন ভারতীয় এক কলেজছাত্রী। তিন মাস পর ভালবাসা দিবসের আগের দিন সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফিরে গেলেন নিজ দেশে। যাওয়ার সময় বলে গেলেন, ‘আমি প্রতারিত হয়েছি। ভুল মানুষকে ভালোবেসেছি। ভালোবাসার মানুষকে এভাবে বিশ্বাস করে এক দেশ থেকে অন্যদেশে ছুটে আসা ঠিক হয়নি।’ 

কলকাতার রানাঘাট এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সাইফুল খান নামে বাংলাদেশি এক যুবকের সঙ্গে। সাইফুল চট্টগ্রামের অলংকার মোড় এলাকার বাসিন্দা। 

ভারতীয় ওই তরুণী লেখাপড়ার পাশাপাশি সেলসম্যানের কাজ করতেন। গত ৩ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ওই সময় খুলনা নগরীর রায়েরমহল এলাকার শেফালী সরকার নামে এক নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। শেফালীর সহযোগিতায় ওই তরুণী বাসে করে চট্টগ্রামে যান। এরপর দুই মাস সেখানে সাইফুলের সঙ্গে ছিলেন।

শেফালী সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে অভিযোগ করে বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে চট্টগ্রামের অলংকার মোড় এলাকার সাইফুল নামে এক যুবক প্রতারণা করেছে। এমনকি তার কাছে সোনার চেইন, আংটিসহ যেসব স্বর্ণালংকার ছিল তাও রেখে দিয়েছেন সাইফুল।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাইফুল নামে এক যুবকের কাছে দুই মাস থাকার পর আমাকে ফোন করে ১ ফেব্রুয়ারি খুলনায় চলে আসে মেয়েটি। আমাকে মা বলে ডেকেছে। ভারতে ফিরতে আমার কাছে সাহায্য চেয়েছে। এরমধ্যে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাকে খুলনার ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের অফিসে নিয়ে যাই। সেখান থেকে খুলনার বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে ভিসার জন্য আবেদন করে সে। গত ১২ ডিসেম্বর ভিসা দেওয়া হয়। মেয়াদ দেওয়া হয় ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সে ভারতে ফিরে গেছে।’

ভারতে যাওয়ার আগে ওই তরুণী বলেন, ‘আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমি বুঝতে পারিনি এভাবে প্রতারণার শিকার হবো। বাংলাদেশে এসে ভুল করেছি। সাইফুলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে ভারতে ফিরে যাচ্ছি।’

তার কাছে সাইফুলের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন।