২৫ মার্চ কালরাত স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোমবাতি প্রজ্বালন

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ইতিহাসের অন্যতম বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা। অসংখ্য নিরীহ সাধারণ মানুষ সেইদিন শহীদ হয়। আজ শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে হাজারো মোমবাতি প্রজ্বালন করে গণহত্যার শিকার সেই শহীদদের স্মরণ করা হয়।

মোমবাতি প্রজ্বালন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।20230325_194529

এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ সব শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষর কণ্ঠে একটি দাবী ছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যাটি যেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

গণহত্যা দিবস সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী জানান, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন বর্বর হত্যাকাণ্ড আর কোথাও সংঘটিত হয়নি। আজকের এই গণহত্যা দিবসের রাতে আমরা শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডকে জাতিসংঘ যেন দ্রুত গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে সেই দাবি জানাচ্ছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ জানান, এই বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এ হত্যাকাণ্ডে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই হত্যাকাণ্ডের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে  হাজার মোমবাতি প্রজ্বালন কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম জানান, আজকের মোমবাতি প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে ২৫শে মার্চ কী ঘটেছিল তা নতুন প্রজন্ম জানবে। তিনি বলেন, সেইদিন যারা পাকিস্তানি বাহিনীর ভয়ে পালিয়ে যাননি তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি ২৫ মার্চ কালরাতে যারা বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন এবং আত্মাহুতি দিয়েছিলেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।

এদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, আজকের এই দিনে কালরাত্রিতে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙ্গালির উপর নির্মমভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমরা তাদের ধিক্কার জানাই।

অনুষ্ঠান চলাকালে ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে নিহত শহীদদের স্মরণ করে আবৃত্তি পরিবেশন করে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন।