শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে তারা

মিঠুন ধর (২৯)। গত ৪-৫ বছরে শতাধিক মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতা তিনি। চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেন। মোটরসাইকেল চুরিতে তার রয়েছে একাধিক দক্ষ সহযোগীও। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ তুলাতলি বনিকপাড়া এলাকার মৃত ধনঞ্জয় ধরের ছেলে। অবশেষে পুলিশ ২৪টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের হোতা মিঠুনকে তার চার সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার বাকি চার জন হলেন মো. বাবর ওরফে বাবুল (৩৫), মো. শাহেদ (২৬), মো. রিপন (৪০) ও মো. খোরশেদ আলম (২৯)। মোটরসাইকেল চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার এবং ২৪টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করা হয়। সিএমপির দক্ষিণ বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

তিনি জানান, কোতোয়ালি থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণ মাঠ রাস্তার ওপর থেকে শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে চোর চক্রের মূলহোতা মিঠুন ধর ও তার সহযোগী বাবরকে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। তারা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, তাদের অপর সহযোগী শাহেদ, রিপন, মো. খোরশেদ আলম, মো. দিদার হোসেন (৩০), মো. নজরুল ইসলাম ওরফে তাহেরদের (৩০) সহায়তায় চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে এসব মোটরসাইকেল চুরি করা হয়। পরে এসব মোটরসাইকেল চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানা এলাকা, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, মিঠুন ধর ও বাবরের দেওয়া তথ্যে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহেদ ও রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ২৩টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ চক্রের সদস্য মো. খোরশেদ আলমকে কোতোয়ালি থানাধীন ব্রিজঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মিঠুন মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা। সে গত কয়েক বছরে শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে।