সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ

সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালের চিকিৎসক রনি চন্দ্র মজুমদার, সাদিয়া আফরিন ও অজ্ঞাত চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নবজাতকের বাবা।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে নবজাতকের বাবা মো. ইউসুফ মিয়া হাজীগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় এলাকার ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী নাজমা আক্তারকে গত ১৮ এপ্রিল বিকালে হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় নাজমার সিজারিয়ান অপারেশন করেন চিকিৎসক রনি চন্দ্র মজুমদার ও সাদিয়া আফরিন। সিজারে ছেলেসন্তান হয় তার।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ এপ্রিল নবজাতকের বাঁ পায়ে সমস্যা দেখা দিলে এক্স-রে করালে হাঁটুর ওপরের হাড় ভাঙা দেখা যায়।

অভিযোগপত্রে নাজমার বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ডেলিভারির সময় চিকিৎসক ভুল করে নবজাতকের হাঁটুর ওপরের অংশ ধরে টানাহেঁচড়া করায় হাড় ভেঙে গেছে। বিষয়টি ওই চিকিৎসকদের জানিয়ে কোনও প্রতিকার না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসক রনি চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ওই সিজারিয়ান অপারেশনের সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই।’

বিষয়টি জানতে আরেক চিকিৎসক সাদিয়া আফরিনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা মো. আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি থানায় গিয়ে বুঝবো।’

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি টেকনিক্যাল হওয়ায় অভিযোগটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। তিনি যে মতামত দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নাঈম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’