এবারের নির্বাচনে জনগণের কাছে যেতে হবে: কবির বিন আনোয়ার

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, আমাদের এবারের নির্বাচনে জনগণের কাছে যেতে হবে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। বিনয়ের সঙ্গে মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে। কারণ, জাতীয় নির্বাচনের সময় বেশি নেই। সেপ্টেম্বরে তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে। নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে হবে।

রবিবার (২৭ আগস্ট) চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, অনলাইনে ক্যাম্পেইন করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় যারা ভোট চাইতে পারেন, কথা বলার কায়দা জানেন, এই মুহূর্তে আমরা তাদের তালিকা তৈরি করবো জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শ নিয়ে। ভোটের দিন কেন্দ্রে কারও কোনও কাজ নেই। নেতাকর্মীদের কাজ হলো ভোটারদের আনা-নেওয়া। ভোটারের স্লিপ আগে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি, ২০০৮ সালে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষের কাছে স্বশরীরে যেতে পেরেছি। অথচ আমাদের নিজেদের ভোটই ৫০ পার্সেন্টের বেশি। আমাদের সবার কাছে যেতে হবে। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা যে আড়াই কোটি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় ভাতা দিচ্ছেন, ভাতাভোগীর সঙ্গে যারা কৃষিতে প্রণোদনা পাচ্ছেন; এবারের নির্বাচনে তাদের কাছে যেতে হবে। তাদের ভোটকেন্দ্রে আনতে হবে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রমাণ করবো। রাজশাহীতে আমরা এটি করেছি এবং সেখানে সফল হয়েছি। রাজশাহীতে ৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

তিনি বলেন, কৃষিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রণোদনা দেন সার এবং ডিজেলে। বীজ দেন ফ্রি। কৃষি যন্ত্রপাতির ওপর বর্তমান সরকার হাওর এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। আর অন্যান্য এলাকায় ৬০ শতাংশ সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। অর্থাৎ আপনি ১০ লাখ টাকা দিয়ে একটি কৃষি যন্ত্র কিনলে আপনি দেবেন মাত্র ৪০ ভাগ টাকা। আর বাকি টাকা সরকার দেবে। এসব নানামুখী উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের সবচে বড় নমুনা। এগুলো আমাদের নেতাকর্মীরা না জানলে জনগণ জানবে কী করে?

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। অথচ তারা নিজেরাই ভোটকেন্দ্রে আসে না। কিংবা ভোটে অংশগ্রহণ করে না, স্যাবোটাজ করে। হত্যা, গুম, খুন করে। মানুষের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু দোষ দেয় আমাদের। এবার আমরা জনগণের কাছে যাবো।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সন্তোষ দাস, আব্দুর রশিদ সর্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড জহিরুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক শাহ আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজীসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

আলোচনা সভা শেষে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলায় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।