কুমিল্লায় সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহতের ঘটনায় আটক ৫

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহতের ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের আটক করা হয়। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সকালে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলডাঙা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হন।

পাঁচ জনকে আটকের বিষয়টি জানিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম জানাননি এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ঘটনার তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের নাম পরে জানানো হবে। তবে তারা ঘটনায় জড়িত। এর মধ্যে একজন ইউপি সদস্য আছেন।’ 

নিহত নিজাম সরকার (৪০) চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই এবং ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

আহতরা হলেন নলডাঙা গ্রামের বাসিন্দা টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার হোসেন (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪), হানিফ (৪৫) এবং ওয়াসিম (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নলডাঙা গ্রামে সোমবার সকালে সানাউল্লাহ গ্রুপ ও কাইয়ুম গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই গ্রুপের লোকজন টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে-অপরের ওপর হামলা চালান। এতে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিহত ও ১০ জন আহত হন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সানাউল্লাহ গ্রুপ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপরদিকে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ। যা কাইয়ুম গ্রুপ নামে পরিচিত। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

মেঘনা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুই দিন ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল একপক্ষ একটি মামলা করেছিল। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছিল। এরই মধ্যে সকালে আবারও সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’