বজ্রাঘাতের ঝুঁকি রোধে ৮ হাজার তালবীজ বপন

বজ্রাঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি রোধে কুমিল্লার দেবিদ্বারে আট হাজার তালবীজ বপন করা হয়েছে। দেবিদ্বার উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যোগে এই বীজ বপন করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালকের পক্ষে জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন হোসেন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো. এহতেসাম রাসুলে হায়দার। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বজ্রাঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি রোধে উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় প্রত্যেকটিতে ৬০০ করে মোট আট হাজার তালবীজ বপন করা হয়। ইতোমধ্যে ভৈষেরকুট, ইউসুফপুর, বেগমাবাদ, বারুরসহ বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক তালবীজ বপন করা হয়েছে।

বপন করা হচ্ছে তালবীজ

মুগসাইর গ্রামের মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘তাল আমাদের এলাকায় জনপ্রিয় ফল। তবে আগের থেকে গাছ অনেক কমে গেছে। বেশি করে তাল গাছ লাগানো প্রয়োজন। এই গাছ থেকে ফল পাওয়ার পাশাপাশি তা বজ্রাঘাত রোধে ভূমিকা রাখবে।’

ভৈষের কুট ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোছা. মরিয়মেন্নেছা ও ইউসুফপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তাল পাকার শুরু থেকে কৃষকদের বীজ সংগ্রহে উদ্বুদ্ধ করি। প্রতি ইউনিয়নে ৬০০টি তালবীজ বপনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করেছি।’

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, ‘সম্প্রতি দেবিদ্বারের পার্শ্ববর্তী চান্দিনা ও মুরাদনগর উপজেলায় বজ্রাঘাতে কৃষকের মৃত্য হয়। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বজ্রাঘাতপ্রবণ এলাকায় তালবীজ বপন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি রোধে রাস্তার পাশে ফসলের ক্ষতি না করে তাল গাছ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই রাস্তার পাশে, খোলা মাঠের পাশে, বড় আইলের ধারে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে তালবীজ বপনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। উপসহকারী কৃষি অফিসাররা কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছেন।’