‘লন্ডনে বসে ইংলিশ স্যুপ খেয়ে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যার কৌশল শেখাচ্ছেন তারেক জিয়া’

বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আগুনসন্ত্রাস করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে অত্যাচার করা। বাংলাদেশ যেন গণতন্ত্র না থাকে। গণতন্ত্রের সুবিধা জনগণ যাতে ভোগ করতে না পারে, বাংলাদেশ যেন একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত হয়, সেই চেষ্টাই তারা করে যাচ্ছেন। লন্ডনে বসে ইংলিশ স্যুপ খেয়ে, বিফ খেয়ে বাংলাদেশের মানুষকে কীভাবে হত্যা করতে হয় সেই বিষয়টি শেখাচ্ছেন তারেক জিয়া।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার বাদৈর ঈদগা মাঠে আয়োজিত নির্বাচনি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থেকেও জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে পারে নাই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর শেখ হাসিনা তার বাবা হত্যার বিচার করেছেন, জেল হত্যার বিচার করেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নির্বাচনি সভায় অংশ নেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক

মন্ত্রী বলেন, পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন হয়, এটাই সাংবিধানিক নিয়ম।  ২০০৯ সালে যখন নির্বাচন হলো তখন বিএনপি-জামায়াতের ভরাডুবি হয়েছে। মানুষ বুঝে গেছে বিএনপির-জামায়াত বাংলাদেশকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কোনও রাজনীতি শিখে নাই। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ-অস্ত্রের ছড়াছড়ি, পুকুরে অস্ত্র লুকিয়ে রেখে সন্ত্রাস করা এগুলো ছিল বিএনপি- জামায়াতের একমাত্র উদ্দেশ্য। বর্তমানে আমরা আওয়ামী লীগ যখন গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে চলেছি, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করছি, তখন তারা আগুনসন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, বাঙালিকে দাবায়া রাখতে পারবে না।  বিএনপি-জামায়াতও পারবে না। জনগণ গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। আর সন্ত্রাস করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

তিনি বলেন, কোনও রাজনৈতিক দল যদি জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে সে দল আর টিকে থাকতে পারে না। কিছু দিন পরে দেখবেন বিএনপির সে অবস্থা হবে। তিনি বিএনপির অপচেষ্টার প্রতিবাদে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য কসবাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানী, সাবেক পৌরসভার মেয়র এররান উদ্দিন জুয়েল ও বাদৈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।