ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত ও বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে টেঁটার আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ কমপক্ষে ৫ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মেহারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আউয়াল এবং মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফা কামাল গ্রুপের মধ্যে মাছের ঘের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে আজ সোমবার বিকালে মোস্তফা কামাল এবং আবদুল আউয়ালের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল ও লোহার রড নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হান্নানের বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুরের শিকার হয়।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে টেঁটা-বল্লমের পাশাপাশি দুই পক্ষই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। দফায়-দফায় চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কামাল মিয়া, জসিম উদ্দিন কিবরিয়া, টেঁটাবিদ্ধ সুমন মিয়াসহ গুরুতর আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অপর আহতদের কসবাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দুই পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষই মামলা দায়ের করেনি।