আমার মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ার ৮ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বাংলাদেশ ছিল ৬০তম অর্থনীতির দেশ। সেখান থেকে আমরা ২৭টি দেশকে পেছনে ফেলে এখন পৃথিবীর ৩৩তম অর্থনীতির দেশ হয়েছি। আজকে এই পরিবর্তন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই উন্নয়ন-অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।’

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের গোয়ালপুরা বাজারে নির্বাচনি পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত কোদালা বাজার, চা-বাগান এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে পথসভা করেন তথ্যমন্ত্রী। কোদালা চা-বাগানের শ্রমিক ও আশপাশের গ্রামের নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে নৌকা মার্কায় ভোট চান। এরপর রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ও বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তথ্যমন্ত্রী। 

পথসভায় মন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট, রেললাইন বানায়, নদীভাঙন ঠেকায়, শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই দেয়। অপরদিকে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের নামে দেশের সম্পদ নষ্ট করে দিচ্ছে। বাসে-ট্রেনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। রাজনীতির নামে এভাবে মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি দুনিয়ার কোথাও নেই। এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। দেশ রক্ষা করতে হলে এদেরকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীসহ রাঙ্গুনিয়ার অন্যান্য নদীরভাঙনরোধে ইতোমধ্যে ৫০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে, আরও ১০০ কোটি টাকার কাজ হবে। অনেক জেলায় এত উন্নয়নকাজ হয়নি। আমার মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ার আট হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি হয়েছে। চাকরির সুপারিশ করার সময় কখনও ভাবিনি, কে কোন দল করে। আমি সব মানুষের এমপি হওয়ার চেষ্টা করেছি সবসময়।’ 

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘অনেক বিএনপি ঘরানার মানুষ আছে, তারা অনেকে আমাকে ভোট দেয়। রাঙ্গুনিয়ায় আগেও এমপি-মন্ত্রী ছিল। কেউ একটি মসজিদ ভবন বানিয়ে দিয়েছে দেখিয়ে দিতে পারবে না। হয়তো মসজিদের জন্য কিছু টাকা দিয়েছে কিংবা এক-দুই টন টিআর চাল দিয়েছে বলতে পারবে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমার পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় ২৪টি নতুন মসজিদের বিল্ডিং করে দিয়েছি। রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে। গত ১৫ বছর সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। এখন আপনাদের দুয়ারে এসেছি, আপনারা দয়া করে আপনাদের দুয়ারটি আমার জন্য খুলে দেবেন। ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।’

নির্বাচনি পথসভায় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা এবং ইউনিয়নের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।