চট্টগ্রামে দফায় দফায় বিএনপি-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় বিএনপির সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর থেমে থেমে সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনায় রণক্ষেত্রে রূপ নেয় চান্দগাঁও এলাকা। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।

সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুরপাড় এলাকায় এ সংঘর্ষ বাধে। পরে এ সংঘর্ষ সিএন্ডবি মোড় থেকে পুরাতন চান্দগাঁও এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কের বিভিন্ন অলিগলির ভেতর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করেছে। ভাঙচুর করেছে সড়কের পাশে থাকা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কাচের দরজা-জানালা। একপর্যায়ে বিএনপির লোকজন চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে রাখে। সড়কের মাঝখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা এ নির্বাচন মানি না, মানি না বলে স্লোগান দেয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান নিক্ষেপ করে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে র‌্যাবের এক গাড়িচালকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের কারণে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় রকিবুল ইসলাম সাকিব (২১) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে চান্দগাঁও থানার টেক বাজার হাজি কালামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় ভোটকেন্দ্রের আশপাশে থেমে থেমে বিভিন্ন অলিগলিতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। জবাবে পুলিশ টিয়ারশেল ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিএনপির লোকজন অলিগলি থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’

টেক বাজার হাজি কালামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রানা চৌধুরী বলেন, ‘সকাল থেকে ভোটারের উপস্থিতি ভালো ছিল। সংঘর্ষের কারণে উপস্থিতি কমেছে।’ তিনি জানান, এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৮৪৩ জন পুরুষ ভোটার আছেন। সাতটি বুথে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট সংগ্রহ হয়েছে ৪৫০টি।