কোম্পানীগঞ্জে ডাকাত দলের সঙ্গে গুলি বিনিময়, তিন পুলিশসহ আহত ৪

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে একদল ডাকাতের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশসহ আহত হয়েছেন চার জন। ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ডাকাত ইসমাইল হোসেন মিশনকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ধলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন, কনস্টেবল কামরুল, হাসান ও ডাকাত ইসমাইল হোসেন মিশন। আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন মিশন মুছাপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রফিক সওদাগরের ছেলে। সে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ ও সীতাকুণ্ড থানায় ৬টির অধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ধলি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই এলাকা থেকে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও একাধিক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ইসমাইল হোসেন মিশনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আসামি মিশন একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশের তিন সদস্যকে জখম করে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায় এবং মিশনকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা এক রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত মিশনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহত মিশনসহ পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা প্রদান এবং কর্তব্যকালীন সময়ে পুলিশকে আঘাতের বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। হামলাকারী ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।