রায় শুনে আদালত থেকে পালালো আসামি, কনস্টেবল বরখাস্ত

চট্টগ্রাম আদালতে চেক জালিয়াতি মামলার রায় শুনে মো. সাইফুল করিম খান নামে এক আসামি পালিয়ে গিয়েছিল। ঘটনার তিন ঘণ্টা পর রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর হালিশহর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাইফুল করিম খান (৪৫) হালিশহর এলাকার বজলুল করিম খানের ছেলে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের দোতলায় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম মামলার রায় ঘোষণা করলে পালিয়ে যায় এই আসামি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার হুমায়ুন কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‌‘চেক জালিয়াতি মামলার রায় ঘোষণার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালত থেকে সাইফুল করিম পালিয়ে যায়।। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হালিশহর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।’ 

মামলার রায়ের বিবরণ দিয়ে উপকমিশনার বলেন, ‘চেক জালিয়াতি মামলায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাইফুল করিমকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও চেকের সমপরিমাণ অর্থ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেইসঙ্গে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পরই এজলাস থেকে আসামি কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে কনস্টেবল কবির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার নিশান চাকমাকে প্রধান করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আদালত থেকে পালানোর ঘটনায় সাইফুলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

চেকের মামলার বাদী আল মুজিব বসর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে ধাপে ধাপে আমার কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ধার নেয় সাইফুল করিম। ওই টাকা ফেরত চাইলে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে প্রিমিয়ার ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার অনুকূলে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেয়। চেকটি ব্যাংকের শাখায় জমা দিলে প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপরও নির্দিষ্ট সময়ে পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় ওই বছরের ২০ অক্টোবর আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করি। আজ আদালত মামলায় রায় ঘোষণা করেছেন।’