বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী চিকিৎসার অভাবে কারাগারে মারা গেছেন, দাবি আমির খসরুর 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করেছেন, ‘এ পর্যন্ত বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী চিকিৎসার অভাবে কারাগারে মারা গেছেন। একটা স্বাধীন দেশের নাগরিকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে চিকিৎসার অভাবে মরতে হচ্ছে, এটা কল্পনাতীত। এটা কোনও সভ্য দেশে হতে পারে না।’

কাশিমপুর কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া চট্টগ্রামের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপি নেতা গোলাপুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে সোমবার (৪ মার্চ) বিকালে দেখা করতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর মোহরা চররাঙ্গা মাটিয়ার গোলাপুর রহমানের বাসভবনে যান তিনি। সেখানে তার কবর জিয়ারত করেন এবং স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে দেখা করে তাদের খোঁজ নেন আমির খসরু। গোলাপুর রহমান মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যু হয় তার। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে তিনি পুলিশের হাতে আটক হন। পরে বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।

নিহতের পরিবারের খোঁজ নেওয়া শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নেওয়া হয়েছিল। তার অন্যতম শিকার হচ্ছে গোলাপুর রহমান। তাকে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের আগের দিন বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে জেলে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে দেশের জেলখানাগুলোর দুরবস্থার কথা আমরা সবাই জানি। সে দুরবস্থা গোলাপ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। দুঃখের বিষয়, কারাবন্দি বিএনপি নেতাকর্মীদের সঠিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। তাদের অন্যায়ভাবে জেলে নিয়ে নিগৃহীত করা হয়েছে। চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় মারা যেতে হয়েছে। তবে গোলাপুর রহমানের মৃত্যু আন্দোলনে অসীম শক্তি জুগিয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ প্রমুখ।