বিয়ে না করানোয় মাকে হত্যা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ছেলের হাতে রানু বেগম (৫৫) নামে মা খুন হয়েছেন। উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে রা‌সেল‌ পালিয়ে যাওয়ার সময় ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কে‌রোয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

নিহতের স্বামী আতর খাঁন বলেন, আমার তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন ধরে তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। সে আমাকেও মেরেছে। আমি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় রান্নার কাজ করি। ছেলে দুপুর ২টা ৪৯ মিনিটে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেন ঘরে জবাই করে রাখছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, স্ত্রী সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কল কেটে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে এসে দেখি, স্ত্রীর লাশ বিছানায় পড়ে আছে। ছেলে পালিয়ে গেছে। পরে আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। জানতে পেরেছি, নিহতের পাঁচ সন্তানের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। বড় ছেলে ফারুক পাঁচ বছর ধরে ঢাকাতে থাকে। বাড়িতে বাবা-মায়ের খোঁজখবর রাখে না। বাকি তিন মেয়ের বিয়ে হওয়াতে তারা স্বামীর বাড়িতে থাকে। রাসেল ফরিদগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে শ্রমিকের কাজ করে। গত কয়েকদিন সঙ্গে সে তার বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। বিয়ে না করালে বাবা-মাকে খুনের হুমকিও দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এসপি সার্কেল পঙ্কজ কুমার। হত্যার শিকার নারীর স্বামী আতর খাঁন ও তার মেয়ে শাহিনের বক্তব্যনুযায়ী নিজের ছোট ছেলে রাসেল কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।