চুনা পাথর নিয়ে দেশে আসছে এমভি আবদুল্লাহ, পৌঁছাবে কোনদিন?

৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে রওনা দিয়েছে। জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক রয়েছেন। আগামী ১২ মে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে এমভি আবদুল্লাহর। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। 

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের সব নাবিক সুস্থ আছেন। দুই নাবিক দুবাই থেকে বিমানে দেশে ফেরার কথা ছিল। তারাও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এখন জাহাজে ফিরছেন।

জলদস্যুদের কবল থেকে দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায়) মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এরপর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি। জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা ওই বন্দরে খালাস করা হয়। পরে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে এমভি আবদুল্লাহ।

জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজসহ ২৩ নাবিক মুক্তি পায়। 

এসআর শিপিংয়ের অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত করা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম এমভি আবদুল্লাহ।