ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা

দীর্ঘ এক ঘণ্টা পর সচল হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল। সোমবার (৬ মে) বিকালে কালবৈশাখী ঝড়ে সীতাকুণ্ডের পৌরসভার পন্থিছিলা এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাছ ভেঙে পড়ে। এ কারণে সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সড়কের ওপর থেকে গাছগুলো অপসারণ করলে যানবাহন চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম কক্সবাজার সড়কের বিভিন্ন অংশে এবং চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসব গাছ সড়ক থেকে অপসারণের পর পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দুলাল বলেন, আজ কালবৈশাখী ঝড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পন্থিছিলা এলাকায় চট্টগ্রামমুখী সড়কে চারটি গাছ ভেঙে পড়েছে। এ কারণে চট্টগ্রামমুখী সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঢাকামুখী সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করি। বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে উদ্ধারকাজ শেষ হয়। এরপর সড়কের এই অংশে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।'

এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া সৌদিয়াগেট, কাদের নগর, মডেল মসজিদ এলাকা, চৌমুহনী বিহার গেট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের ওপর গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তৎচঙ্গা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সোমবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।