অটোরিকশা চালকের মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কারাগারে 

লক্ষ্মীপুরে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে মাসিক চাঁদাবাজির অভিযোগে রাশেদ নিজাম (৪০) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে। আসামি রাশেদ এখন জেলা কারাগারে রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার হাজিরপাড়া এলাকা থেকে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে মো. মামুন নামে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।

এতে রাশেদ নিজামকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সদরের পশ্চিম মান্দারী গ্রামের মো. রিপন (২৮), পশ্চিম দিঘলী গ্রামের ফারুক (৩২) ও চন্দ্রগঞ্জের লতিফপুর গ্রামের নুরুল আলম (৪০)।

রাশেদ নিজাম সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের রতনেরখিল গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।

বাদী মামুন একই উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে। গত ১১ জুন তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল চন্দ্রগঞ্জ আদালতে এজাহার দায়ের করেন। আদালত এজাহারটি এফআইআর হিসেবে নিতে চন্দ্রগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি লক্ষ্মীপুর-চন্দ্রগঞ্জ সড়কের সিএনজি অটোরিকশা চালক। গত তিন মাস ধরে ওই রুটে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে টোকেনের মাধ্যমে মাসিক ৬০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে রাশেদ নিজাম ও তার সহযোগীরা। তাকেও বিভিন্ন সময়ে মাসিক চাঁদা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মান্দারী বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ডে তাকে হত্যার হুমকি দেয় আসামিরা।  

অভিযোগ রয়েছে, রাশেদ নিজাম স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছেন। এতে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা অতিষ্ঠ ছিল। মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতেন তিনি। 

প্রতিকার পেতে রাশেদ ও তার ওই তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের কাঁঠালী গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. সিফাত হোসেন জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, আদালতের নির্দেশে এজাহারটি এফআইআরভুক্ত করা হয়েছে। প্রধান আসামি রাশেদ নিজামকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।