সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিন জন। যার মধ্যে একজনের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। তার নাম মো. ওমর ফারুক (৩২)।
রাতেই চট্টগ্রাম থেকে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ আনা হয় কুমিল্লার চান্দিনায়। সেখানে পরদিন (বুধবার) সকাল ৮টায় জানাজা শেষে দাফনের কথা থাকলেও ভোরেই জানাজা শেষ করে কবরস্থ করার নির্দেশ দেয় পুলিশ।
জানা গেছে, ওমর ফারুকে বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়। কিন্তু তিনি থাকতেন কুমিল্লার চান্দিনায় শ্বশুরবাড়িতে। উপজেলার বাতাঘাসি ইউনিয়নের হাশিমপুর এলাকার দুলাল মিয়ার জামাতা ওমর ফারুক।
বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বাতাঘাসি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ওমর ফারুক রাজনীতি করেন না। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি স্ত্রীসহ চট্টগ্রাম শহরে থাকতেন। সেখানে শহরের মুরাদপুর এলাকার একটা ফার্নিচার কারখানায় কাজ করতেন। মঙ্গলবার বিকাল কারখানা থেকে খেতে বের হলে মুরাদপুর এলাকায় বুকে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এ সময় কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে তুমুল মারামারি চলছিল। আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তড়িঘড়ি করে দাফনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ এসে বলেছিল, যেহেতু পোস্টমর্টেম করা হয়েছে তার মধ্যে তীব্র গরম। এতে লাশের সমস্যা হতে পারে তাই দ্রুত দাফন করার জন্য। আমরাও দেরি করিনি। ৭টা কী সাড়ে ৭টার দিকেই দাফনের কাজ শেষ করেছি।’
এ বিষয়ে কুমিল্লার চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘তার (ওমর ফারুক) মরদেহ ভোররাতে এনেছে। পুলিশ সকালে গিয়েছে। কিন্তু দাফনের বিষয়ে তেমন কিছু বলেনি। ওরা ওদের মতোই করেছে।’