ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একই পরিবারের দুই শিশুকন্যাসহ এক দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৮ জুলাই) সকালে নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়া বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতরা হলেন নবীনগর সদরের নিউমার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ আহমেদ (৩৩), তার স্ত্রী জান্নাতুন্নেসা (২২), তাদের বড় মেয়ে ফারিয়া (৪) এবং ছোট মেয়ে ফাহিমা (২)। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানান, প্রতিদিনের মতো সোহাগ আহমেদ তার স্ত্রী জান্নাতুন্নেসা ও তাদের দুই শিশুকন্যা ফারিয়া ও ফাহিমাকে নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সকালে তাদের ঘুম থেকে উঠতে দেরি দেখে স্বজনেরা ঘরের দরজায় ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। পরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা ঘরের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে তারা একে একে চার জনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
নিহতের স্বজনেরা জানান, ফাঁস লাগার মতো কোনও ঘটনা ঘটতে পারে এমন বিষয় তাদের জানা নেই।
তবে নিহত সোহাগের বোন ইয়াসমিন আক্তার জানান, সোহাগ স্থানীয় মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার ছিলেন। তার সঙ্গে অনেকের দেনাপাওনা ছিল। চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত ছিল। ঋণের তাড়নাতে সে পরিবার নিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা বোনের।
এদিকে খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। দেনাপাওনার ঘটনা থেকে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া ঘটনার কারণ স্পষ্ট করে এখনও বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।