বৃদ্ধকে হত্যার পর ৯ টুকরো করলো স্ত্রী-মেয়ে, পুলিশের হাতে গ্রেফতার

পারিবারিক কলহের জেরে অরুন মিয়া নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরো করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের চার দিন পর মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার ফরদাবাদ গ্রাম থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী মোমেনা বেগম ও তার মেয়ে লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করেছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন।

তিনি জানান, নিহত অরুন মিয়া ফরদাবাদ গ্রামের মৃত সুরুজ বেপারীর ছেলে। পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগমের সঙ্গে তার কলহ লেগে ছিল। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তার মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে মারা যান। পরে মোমেনা তার মেয়ে লাকিকে সঙ্গে নিয়ে লাশ নয় টুকরো করে ১১টি পলিথিনে ভরে পার্শ্ববর্তী মনির মিয়ার সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর নিহতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল বাদী হয়ে গত শুক্রবার তার সৎ-মা মোমেনা বেগম ও সৎ বোন লাকিকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসী সেপটিক ট্যাংক থেকে গন্ধ বের হওয়ায় পলিথিন খুলে পুলিশকে খবর দেন। এতে অরুন মিয়ার লাশের খণ্ডিত অংশ মেলে। এ ঘটনায় স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় শিকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল হোছাইন আরও জানান, তাদেরকে প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেলের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন ও বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।