সরকার পতনের পর আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, কবর থেকে লাশ উত্তোলন

চাঁদপুরের হাইমচরে ৫ আগস্ট হামলায় নিহত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু খানের লাশ দাফনের দুই মাস পর উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকারিয়া হোসেনের উপস্থিতিতে উত্তর আলগী ইউনিয়নের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওঠানো হয়।

বাচ্চু মিয়া খাঁন উত্তর আলগী ইউনিয়নের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের আব্দুল মতিন খাঁনের বড় ছেলে। তিনি দুই কন্যা সন্তান ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন।

পারিবারিক ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া খাঁনকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর নিহত বাচ্চু খানের মা ফাতেমা বেগম ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে হাইমচর থানায় অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার প্রায় দুই মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ উত্তোলন করা হয়।

হাইমচর থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, হাইমচর থানায় করা মামলায় ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।