গাইবান্ধার পৌর এলাকার মুন্সিপাড়ার মো. জয়বুর হোসেন (৫৮) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক বিজিবির সদস্যের বাড়িতে অস্ত্র হাতে হামলা ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে সৈয়দ মো. বেলাল হোসেন ইউসুফ নামে একজনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, উচ্চশব্দে গানবাজনার প্রতিবাদের জেরে বেলাল হোসেন অস্ত্র হাতে দলবল নিয়ে এই হামলা চালায়।
দিনেদুপুরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি এক প্রতিবেশী তার মোবাইলে ধারণ করেন। এরই মধ্যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকা মুন্সিপাড়া (মসজিদ সংলগ্ন) দক্ষিণ পাশের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জয়বুর হোসেন সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে বেলাল হোসেন ইউসুফকে প্রধান করে অজ্ঞাত আরও ৮-৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সৈয়দ মো. বেলাল হোসেন ইউসুফ (৬০) একজন মুক্তিযোদ্ধা। ফুলছড়ি উপজেলার বাসিন্দা বেলাল হোসেন শহরের মুন্সিপাড়ার জুয়েল ইসলামের বাসায় ভাড়া থাকেন। গত ৮-৯ মাস আগে তিনি বাসাটি ভাড়া নেন।
এদিকে, লিখিত অভিযোগ হলেও এ ঘটনায় শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিখিত অভিযোগে জয়বুর হোসেন উল্লেখ করেন, তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন বিজিবি সদস্য। শহরের মুন্সিপাড়ার নিজস্ব বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। সম্প্রতি হজ থেকে ফিরে নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন। কিন্তু তাহাজ্জুদের নামাজের সময় পাশের বাসার ভাড়াটিয়া বেলাল হোসেন উচ্চশব্দে গানবাজনা করেন। এ কারণে তার নামাজসহ আশপাশের প্রতিবেশীদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে বেলাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে তার স্ত্রীসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেন।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত বেলাল হোসেন ইউসুফ ও তার সহযোগী ৮-৯ জনকে সঙ্গে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে বাড়ির সামনে আসে। এ সময় বেলাল হোসেন হাতে থাকা অস্ত্র উঁচিয়ে এবং তার পা দিয়ে বাড়ির গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে অকথ্য গালিগালাজ করে তাকেসহ পরিবারের লোকজনকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন। ঘটনার সময় তাদের হাতে ধারালো দেশীয় একাধিক অস্ত্র থাকায় প্রতিবাদের সাহস পায়নি এলাকাবাসী।
তবে অভিযোগের বিষয় জানতে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি বেলাল হোসেনকে। তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও রিসিভ করেননি। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।