লাখ টাকা চুক্তিতে পল্লী বিদ্যুতের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ২০

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) পদে একজনের বদলে আরেকজন (প্রক্সি) লাখ টাকা চুক্তিতে পরীক্ষা দিতে এসে ২০ জন আটক হয়েছেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শহরের তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা। ওসি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তারা একটি চক্রের সদস্য।’

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে জনবল সংকট থাকায় নিয়মনীতি মেনে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ জন জনবল নিয়োগের কথা থাকলেও আবেদন করেন পাঁচ হাজারের অধিক প্রার্থী। শনিবার সকালে শহরের চারটি কেন্দ্রে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এতে পাঁচ হাজার ২৫৫ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের সঙ্গে ছবির মিল না থাকায় ফেনী সরকারি কলেজ ও সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে সাত, সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে সাত এবং শাহীন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ছয় জনকে আটক করা হয়। আটকের পর তারা একজনের বদলে আরেকজন পরীক্ষা দিতে এসেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান জানান, চারটি কেন্দ্রে পাঁচ হাজার ২৫৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। প্রক্সি দিতে আসা ২০ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন- রংপুরের মোহাম্মদ রুবেল, ফয়সাল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, তারেক হোসেন, মিঠু সরকার, কিশোরগঞ্জের মোহাম্মদ খলিল, মুজাহিদ, আমির আলী, বগুড়ার মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ, ইদ্রিস আলী, গাইবান্ধার মাজহারুল ইসলাম, আরশাদ উজ্জামান, সাহেদ জুয়েল, নেত্রকোনার আরিফুর ইসলাম, লালমনিরহাটের মোহাম্মদ মুসফিকুর, দিনাজপুরের আল আমিন, শরীয়তপুরের আমিনুল ইসলাম, শেরপুরের সুমন মিয়া, রাজবাড়ীর আকমল হোসেন ও বরগুনার মোহাম্মদ রাসেল।

পুলিশ জানায়, আটকের পর তারা জানিয়েছেন সবাই একটি চক্রের সদস্য। যেকোনো চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে দুই-তিন লাখ টাকা করে নিয়ে চুক্তিতে প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে মূল প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করে দেন। একইভাবে ফেনীতে এসে ধরা পড়েন তারা। তাদের আটক করে ফেনী মডেল থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।