যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার পাঁচ ডাকাত

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতিতে জড়িত একজন যুবদল, আরেকজন ছাত্রদল কর্মী

কুমিল্লার লালমাইয়ে সৌদিপ্রবাসী দুই ভাইয়ের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হরিশ্চর পশ্চিম পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে একজন যুবদল ও আরেকজন ছাত্রদল কর্মী।

তারা হলেন- উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম অশ্বথতলা গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে রাসেল মামুন (৩২), রাসেলের ভাই তুহিন হোসেন (২৯), নাগরীপাড়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে জোবায়ের হোসেন (২৫), হারেজ মিয়ার ছেলে ইয়াকুব হোসাইন (২০) ও আমিনুল ইসলামের ছেলে রায়হান (২৬)। তাদের মধ্যে রাসেল মামুন বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্যসচিব পরিচয় দিয়ে এলাকায় পোস্টার টানিয়েছেন। আর ইয়াকুব হোসাইন বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্যসচিব পরিচয় দিয়ে এলাকায় পোস্টারিং করেছেন। 

এই দুজনের পদ-পদবির বিষয়ে জানতে চাইলে লালমাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইকবাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‌‘রাসেল ও ইয়াকুব যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে কোনও পদে নেই। আমরা তাদের যুবদল কর্মী হিসেবে চিনি। দলের পরিচয়ে কেউ অপরাধ করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‌‘যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার পাঁচ ডাকাত দত্তপুরে দুই প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। তাদের ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।’

পুলিশ জানায়, গত ৬ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর পশ্চিম পাড়ার হাবিবুর রহমানের দুই প্রবাসী ছেলে মিনহাজ উদ্দিন ও সালমান জাহান সজিবের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা প্রবাসীদের ছোট ভাই ও মাকে মারধর এবং বাবার পায়ের রগ কেটে গুরুতর জখম করেন। এ সময় ঘরের আলমারিতে থাকা নগদ তিন লাখ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যান তারা। আহতদের প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রবাসীদের বাবাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি গত এক মাস ধরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন। 

ওসি শাহ আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা পরদিন ভোরেই ঘটনাস্থলে যাই। ডাকাতরা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। প্রবাসীদের বাবাকে কুপিয়ে জখম করেছে এবং মা ও ভাইকে মারধর করেছে। মা ও ভাই সুস্থ হলেও তাদের বাবা ঢাকায় চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত, তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’