চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রবিবার ঈদ

সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গে মিল রেখে রবিবার (৩০ এপ্রিল) চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৫ বছর ধরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে সাদ্রাসহ প্রায় ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে আসছেন। ঈদ ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

সাদ্রা দরবার শরিফের বর্তমান পীর মো. আরিফ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। শনিবার সৌদিতে চাঁদ দেখা গেছে। তাই রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সাদ্রা মাদ্রাসা ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন এলাকাতেও ঈদের জামাত হবে।’

সাদ্রা ছাড়াও রবিবার ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা এদিন ঈদ উদযাপন করবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন। পরে দরবার শরিফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে অনুসারীদের নিয়ে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন শুরু করেন।