ছাত্রনেতারা এখন ৩০ হাজারের পাঞ্জাবি ও ৫০ হাজারের জুতা পরেন: বরকতউল্লা বুলু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেছেন, ‘কয়েকজন উপদেষ্টা আছেন যারা ছাত্ররাজনীতি করতেন। হলে থাকতেন, মেসে থাকতেন, টিউশনি করতেন তারা এখন পাঁচ-ছয় কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন। আগে-পিছে আরও ৩০-৪০ কোটি টাকার গাড়ি থাকে। কয়েকদিন আগে এক নেতা গিয়েছেন তার বাড়িতে। একশর অধিক গাড়ি নিয়ে গেছেন। এভাবে রাজনীতি করছেন তারা।’

বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সাত শহীদ পরিবারের মধ্যে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উপহারসামগ্রী বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি। বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শহরের একটি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ছাত্রনেতারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে ইফতার পার্টি করেছেন উল্লেখ করে বরকতউল্লা আরও বলেন, ‘১৫-২০ কোটি টাকা খরচ করে দলের আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠান করেছেন। আগে তারা পরতেন ৫০০ টাকার দামের পাঞ্জাবি এখন পরেন ৩০ হাজার টাকা দামের পাঞ্জাবি। জুতা পরেন ৫০ হাজার টাকার। হাতের ঘড়ি ৪০ হাজার টাকা। তারা প্রশাসনের ওপর ফোর্স করেন অমুককে বদলি করতে হবে, অমুকখানে অমুককে দিতে হবে। সচিবরা বলেন তারা তাদের ওপর ফোর্স করেন। প্রকৌশলীদের চাপ দেওয়া হয়, অমুককে এই জায়গায় দিতে হবে, অমুককে ওই কাজ দিতে হবে। এই যে নৈরাজ্য মব জাস্টিসের নামে মানুষের বাড়িঘরে হামলা হচ্ছে। এর থেকে মুক্তি পেতে নির্বাচন ছাড়া উপায় নাই। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত যারা করতে চান, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের সপক্ষে নয়।’

তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের ৭১ কে অস্বীকার করেন, যারা ৪৭-এর পূর্বে ফিরে যেতে চান, যারা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তকে অস্বীকার করতে চান, যারা এই মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেন, মুক্তিযুদ্ধকে পাশ কাটিয়ে যারা কথা বলেন, তারা এই দেশের জনগণের সপক্ষে রাজনীতি করেন বলে আমরা মনে করি না। যারা ৭১ কে অস্বীকার করেন, তাদের বাংলাদেশে ভোট চাওয়ার কোনও অধিকার নেই।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শামীমা বরকত প্রমুখ। আলোচনা শেষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।