চট্টগ্রামে কোরবানিদাতা বেড়েছে ৬৭ হাজার, পশুর ঘাটতি

চট্টগ্রামে এবার কোরবানিতে গবাদিপশুর চাহিদা আছে আট লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। তবে কোরবানিযোগ্য পশু আছে আট লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি। চাহিদার তুলনায় ৩৫ হাজার ৩৮৭টির ঘাটতি রয়েছে। কারণ কোরবানিদাতা বেড়েছে। এ অবস্থায় চাহিদা মেটাতে অন্য জেলাগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে।

ঘাটতি থাকা গবাদিপশু আশপাশের জেলা অথবা উত্তরাঞ্চলের খামারি কিংবা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা আনলে তাতে সংকট দূর হবে বলে জানালেন চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানিদাতা বেড়েছেন ৬৭ হাজার ২৯৭ জন। গত বছর চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরে কোরবানি হয়েছে আট লাখ ১৮ হাজার ৪৬৮টি পশু। এবার কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে আট লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। এর মধ্যে মজুত আছে আট লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি। পশুগুলোর মধ্যে গরুর মজুত আছে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৩টি। গরুর মধ্যে তিন লাখ ৬৫ হাজার ২৯টি ষাঁড়, এক লাখ ২১ হাজার ৬৭০টি বলদ, ৪৯ হাজার ১১৪টি গাভি এবং মহিষ ৬৪ হাজার ১৬৩টি, ছাগল দুই লাখ ৫ হাজার ১৭৪টি, ভেড়া ৫৫ হাজার ৬৯৭টি এবং অন্যান্য পশু আছে ৩৫টি।

জেলায় সবচেয়ে বেশি পশুর চাহিদা আছে সন্দ্বীপ উপজেলায় ৮৫ হাজার ২৫০টি। সবচেয়ে কম ২৯ হাজার ৭৪২টি পশুর চাহিদা রয়েছে বোয়ালখালীতে। অন্যান্য এলাকার মধ্যে সাতকানিয়ায় ৪৫ হাজার ৩৭১টি, চন্দনাইশে ৪৭ হাজার চারটি, আনোয়ারায় ৬৩ হাজার ৪২৮টি, পটিয়ায় ৭০ হাজার ১৮০টি, কর্ণফুলীতে ৩৩ হাজার ৫৩৩টি, মীরসরাইয়ে ৫৮ হাজার ৭৮০টি, সীতাকুণ্ডে ৫৬ হাজার ৮৫০টি, হাটহাজারীতে ৪৪ হাজার ৮৯০টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৫০ হাজার, ফটিকছড়িতে ৬৯ হাজার ৪১৯টি, লোহাগাড়ায় ৩৮ হাজার ৫৯টি, রাউজানে ৩৪ হাজার ৩০২টি, বাঁশখালীতে ৫৯ হাজার ৪০৪টি, ডবলমুরিং এলাকায় ৩৭ হাজার ৫০০টি, কোতোয়ালিতে ৩০ হাজার ৬৯৮টি এবং পাঁচলাইশে ৪১ হাজার ৫৫৯টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় ৩৫ হাজার ৩৮৭টি পশুর ঘাটতি থাকলেও কোরবানিতে সংকট হবে না। কোরবানির সময় অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী বিভিন্ন জেলা থেকে পশু এনে চট্টগ্রামে বিক্রি করে থাকেন। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলার খামারি ও ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন পশু। ফলে জেলায় ঘাটতি থাকলেও পশুর সংকট হবে না।’

রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামের খামারি আজিজুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাউজানসহ চট্টগ্রামে গত এক বছরে অনেকগুলো নতুন পশুর খামার গড়ে উঠেছে। কাজেই কোরবানিতে এবার পশুর কোনও সংকট হবে না। খামারগুলোতে কোরবানিকে ঘিরে পর্যাপ্ত পশু আছে। দামও বাড়বে বলে মনে হয় না।’