ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রাঘাতে ৫ জনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও আখাউড়ায় পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে কৃষকসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১১ মে) বিকাল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে এসব বজ্রাঘাতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে চার জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। অপরজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরের পর থেকে আকাশ ঘন কালো হয়ে হালকা থেকে মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সেই সঙ্গে বিজলিসহ বজ্রাঘাত শুরু হয়। ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় কৃষকরা জমিতে ধান কাটছিলেন। এ সময় নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রাঘাতে শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক (৩৫) মারা যান।

এর অল্প সময়ে পর গোকর্ণ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় বজ্রাঘাতে অপর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। পাশাপাশি নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে এসে বিকালে শিশুদের সঙ্গে মাঠে খেলা করার সময় বজ্রাঘাতে শিশু জাকিয়ার (৭) মৃত্যু হয়।

নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুরে পর থেকে আকাশে কালো মেঘের ফেলার কারণে অন্ধকার নেমে আসছিল। পরে হালকা থেকে মাঝারি আকারের বৃষ্টি হচ্ছিল। আকাশেও বেশ বিজলি চমকাচ্ছিল। এর মধ্যে আমাদের কাছে খবর আসে পৃথক দুটি স্থানে বজ্রাঘাতে তিন জন মারা গেছেন। খবর পেয়ে সেসব স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, যেহেতু বজ্রাঘাতের ঘটনা, এ ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব বহন করে না। থানায় অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হবে।

এদিকে একই সময়ে আখাউড়ায় বজ্রাঘাতে শেখ সেলিম মিয়া (৬০) ও জামির খাঁ (২২) নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকালে নিজ জমিতে খড় গোছানোর সময় আকস্মিক বজ্রাঘাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শেখ সেলিম মিয়ার।

অপরদিকে উপজেলার বনগজ এলাকায় ধান ভাঙানোর মেশিন নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে মৃত্যু হয় জমির খাঁর। এই ঘটনায় পরিবার ও গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আখাউড়া থানার ওসি ছমিউদ্দিন বজ্রাঘাতে দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।