কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির ছোড়া গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা হেদায়েত উল্লাহ (১৭) ও মোহাম্মদ হোসেন (১৬)। তারা বতর্মানে কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ঘটনার সত্যতা বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘দুপুরে নাফ নদে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।’
স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুরে নাফ নদের বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরতে গেলে আরাকান আর্মি জেলেদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে হেদায়েত উল্লাহর হাঁটুতে ও হোসেনের বাঁ পায়ে গুলি লাগে। পরে তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. রেজাউল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে নৌকা নিয়ে শাহপরীর দ্বীপের তিন জেলে নাফ নদে মাছ শিকারে যান। হঠাৎ দুপুরে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হন। আরেকজন সুস্থ অবস্থায় ফিরে এসেছেন।’
গুলিবিদ্ধ হেদায়েত উল্লাহর বড় ভাই আবদুর রহিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাছ ধরতে গিয়ে আরাকান আর্মির গুলিতে আমার ভাইসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
এদিকে, একই দিন দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা সীমান্তের নাফ নদ থেকে গুলি করে বাংলাদেশি তিন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। দুপুরে বাংলাদেশের লেদা সীমান্ত সংলগ্ন নাফ নদ থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদার লামারপাড়ার বাসিন্দা সিদ্দিক হোসেন (২৭), রবিউল আলম (২৭) ও মাহমুদ হোসেন (৩০)। তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নুরুল হুদা।