নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেছেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোনও লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নৌথানা ওসির কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট ও আশপাশের নদীপথে নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিআইডব্লিউটিএ প্রতিনিধি, লঞ্চ মালিক সমিতি, স্পিডবোট মালিক সমিতি, সিএনজি ও অটোরিকশা মালিক সমিতি এবং হকার সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ ও নৌথানার ওসি এএসএম ইকবাল।
সভায় লঞ্চ মালিক ও পরিবহনসংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার তাদের বক্তব্য শোনেন এবং ঈদযাত্রা নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও যাত্রীবান্ধব করতে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ প্রদান করেন।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে- লঞ্চ স্টাফগণ পন্টুনে না এসে লঞ্চ থেকেই যাত্রী ডাকবেন। পন্টুন এলাকাসমূহ হকারমুক্ত রাখতে হবে। পন্টুনে সিএনজি, অটোরিকশা বা অন্যান্য যানবাহনের ড্রাইভার প্রবেশ নিষিদ্ধ। কোনও লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। আবহাওয়া অধিদফতরের নির্দেশনা কঠোরভাবে মানতে হবে। সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো সারিবদ্ধভাবে পার্কিং এরিয়ায় অবস্থান করবে। যাত্রী প্রবেশ পথে কোনও ড্রাইভার অবস্থান করতে পারবে না। কোনো অবস্থাতেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ করা যাবে না। যাত্রী তুলতে কেউ পার্কিং এলাকা থেকে বাইরে আসবে না। যাত্রী হয়রানি বরদাশত করা হবে না এবং অভিযোগ পাওয়ামাত্র আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নৌপুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যাত্রাপথে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত টহল, মনিটরিং ও নজরদারির পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিট থেকে একটি করে মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। সকলের সহযোগিতায় নৌপুলিশ একটি নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও ভোগান্তিমুক্ত ঈদযাত্রা উপহার দিতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।