ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এসআই বরখাস্ত, ওসি শোকজ

গোপালগঞ্জগোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে জায়েদ আব্দুল্লাহ বিন সরোয়ার নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া কাশিয়ানী থানার ওসি একেএম আলী নূর হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে।

রবিবার গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার এস.এম এমরান হোসেন কাশিয়ানী থানার এসআই  আব্দুল্লাহ বিন সরোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে ক্লোজ এবং ওসিকে শোকজ করেছেন।

জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর বিকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতি বাসস্ট্যান্ড থেকে মাজড়া গ্রামের আসাদ মোল্লার ছেলে সেনা সদস্য রাজু মোল্লা ও পোনা গ্রামের সোহেল মাস্টার ভ্যানে করে তাদের গ্রামে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাশিয়ানী থানার এসআই জায়েদ আবদুল্লাহ ও কনস্টেবল আ. রহমান তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে আটক করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশী করে রাজু মোল্যার কাছে কিছুই পাননি। ভ্যানের অপর যাত্রী সোহেল মাস্টারের কাছে ইয়াবা ট্যাবলেট পান। এরপর তাদের দু’জনকে থানায় নিয়ে যান। সোহেল মাস্টারকে মাদক মামলায় চালান দেওয়া হয়। সেনা সদস্য রাজু মোল্যার ওপর নির্যাতন করা হয়। পরে  চাকরির ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে একদিন পরে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে রাজু মোল্যার বাবা আসাদ মোল্লা অভিযোগ করেন। আসাদ মোল্যা আরও জানান, তার ছেলে সেনা বাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি করে। বর্তমানে সে র‌্যাব-৬ এ কর্মরত আছে।

এ ব্যাপারে কাশিয়ানী থানার এসআই  জায়েদ আব্দুল্লাহ বরখাস্তের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার দিন রাজু মোল্যা ও সোহেল মাস্টারকে মাঝিগাতি বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক  করে ওসি স্যারকে জানাই। তার নির্দেশে তাদের থানায় নিয়ে আসি। এরপর যা হয়েছে সব কিছু স্যারের কথামত হয়েছে। তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হওয়ার পর তিনি এ ব্যাপারে কোনও কিছুই জানেন না বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন।’

কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম আলীনূর হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সাক্ষাতে বলবেন বলে জানান।

গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার এস.এম এমরান হোসেন বলেন, কাশিয়ানী থানার এসআই  জায়েদ আব্দুল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে ক্লোজ এবং ওসিকে শোকজ করা হয়েছে। সেনা সদস্য ছাড়াও একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

‘জলির অভিমান বুঝতে না পারা আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতা’ 

/বিটি/