গোপালগঞ্জে ১০ টাকার চাল নিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে

গোপালগঞ্জগোপালগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রের ১০ টাকা কেজি দরের চাল নিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সিদ্ধার্থ বিশ্বাস সতু।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরোজ কান্তি বিশ্বাস খোকনের ছেলে সিদ্ধার্থ বিশ্বাস সতু হতদরিদ্রের কার্ড পাওয়ায় ইউনিয়ন জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সরোজ কান্তি বিশ্বাস খোকন ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় গত বছর হতদরিদ্রের ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ডের তালিকা করা হয়। ওই তালিকা অনুযায়ী হতদরিদ্রদের কার্ড দেওয়া হয়। বাবা চেয়ারম্যান থাকায় ছেলে সিদ্ধার্থ ক্ষমতার অপব্যবহার করে হতদরিদ্রের তালিকা প্রণয়ন করেন। সেখানে তিনি নিজের নামে একটি কার্ড নেন।

রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ডিলার ভূপতি বনিক জানান, সিদ্ধার্থ বিশ্বাস সতুর কার্ড নং ২৭৫। এ কার্ড দিয়ে তিনি সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করেন। এ নিয়ে ইউনিয়ন জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

অভিযুক্ত সিদ্ধার্থ বিশ্বাস সতু কার্ড নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার অজান্তেই সাবেক ইউপি মেম্বার প্রণয় বিশ্বাস আমার নামে একটি কার্ড দিয়েছেন। কার্ড পেয়ে আমি অবাক হয়েছি। কার্ড পাওয়ার পর বর্তমান চেয়ারম্যান শ্রীবাস বিশ্বাসকে কার্ড বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেছি। তবে আমি ওই কার্ডে মাত্র একবার (সেপ্টেম্বর) ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করে একটি হতদরিদ্র পরিবারকে দিয়ে দিয়েছি।’

সাবেক ইউপি মেম্বার প্রণয় বিশ্বাস বলেন, ‘চেয়ারম্যানের ছেলে সিদ্ধার্থ নিজেই প্রভাব খাটিয়ে কার্ড নিয়েছে। সেই ভিলেজ পলিটিক্স ঠিক রাখতে আমাদের উপেক্ষা করে ইউনিয়ন জুড়ে কার্ডের তালিকা করেছে। আমি তাকে কার্ড দেইনি।’

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরোজ কান্তি বিশ্বাস খোকন দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ইতিমধ্যে হতদরিদ্রের তালিকা যাচাই বাছাই শুরু হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে প্রভাবশালী ও বৃত্তবানদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন:

ভিজিডি চাল আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
মামলায় অগ্রগতি নেই, আশার আলো দেখছে না তনুর পরিবার

/বিটি/