নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক শ্যামল কান্তি লাঞ্ছনার ঘটনায় গণশুনানি চলছে





Narayanjangনারায়ণগঞ্জে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের লাঞ্ছনার ঘটনায় গণশুনানি চলছে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ গণশুনানি চলছে।





ঢাকা সিএমএম কোর্টের বিচারক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম বেলা ১১টায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে গণশুনানি শুরু করেন। গণশুনানিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও গোলাম নবী এবং নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত তাকে কঠোর পুলিশ প্রহরায় স্কুলে আনা হয়। তবে গণশুনানির আগে স্থানীয় লোকজন শ্যামক কান্তির বিরুদ্ধে স্কুলের আশেপাশে ব্যানার ও ফেস্টুন লাগিয়ে রাখে।
১৮ মে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা দোষীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। বিচারপতি মইনুল ইসাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোহাম্মদ ইকবাল কবির লিটনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রুলে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার-এসপি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আদেশে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৩ দিনের মধ্যে তার প্রতিবেদন জমা দিতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান সবার সামনে ওই শিক্ষককে কান ধরে ওঠবোস করান। এর এক পর্যায়ে শ্যামল কান্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ওই রাতেই তাকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরদিন শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. শফিউল আজমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২০ মে পুলিশের প্রহরায় শ্যামল কান্তি ভক্তকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
/এমডিপি/