স্কুলছাত্রী হত্যায় অভিযুক্ত যুবকের ‘আত্মহত্যা’

আরাফাত সরকার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্কুলছাত্রী মুন্নি হত্যায় অভিযুক্ত আরফাত সরকার (২৩) আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতের কোনও এক সময় তিনি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

আরফাত সরকার কালিয়াকৈরের চাপাইর এলাকার আতাউর সরকারের ছেলে।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রফিকুল ইসলাম আরাফাতের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মরদেহ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, মুন্নির মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা শহিদ বাদী হয়ে অভিযুক্ত আরফাত সরকারকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেন।

স্থানীরা জানান, মঙ্গলবার মুন্নির মরদেহ উদ্ধারের পর আরাফাত পালিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর গ্রামে তার ফুপুর বাড়িতে চলে আসেন। সেখানে মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় তিনি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। বুধবার সকালে স্বজনরা আরাফাতের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি চাপাইর নিয়ে যান।

আরাফাতের মা মাসুদা পারভীন জানান, মুন্নি ও আরাফাতের সম্পর্ক নিয়ে উভয় পরিবারের আপত্তি ছিল। মঙ্গলবার রাতে তার ছেলে গোপনে মুন্নিদের বাড়িতে যায়। তাদের একঘরে পেয়ে মুন্নির পরিবারের লোকজন আরাফাতকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে মেয়েটির আত্মহত্যার খবর শুনে তার ছেলে ফুফুর বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শহিদের মেয়ে চাপাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মুন্নির (১৫) গলায় ওড়না প্যাঁচানো মরদেহ তার ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। আরাফাত স্কুলছাত্রী মুন্নিকে উত্যক্ত করতো এবং প্রেমে রাজি না হওয়ায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে মুন্নির পরিবার দাবি করে।

এ সংক্রান্ত আগের খবর পড়ুন:
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে বাসায় গিয়ে হত্যা!

/বিটি/