মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার সালমা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আছাদুজ্জামান আছাদ, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদ, গোয়ালন্দ ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন- ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর কাচরন্দ গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের হিন্দু পল্লীর বাসিন্দা সমর শীল, পালন কর্মকার, মন্টু কুমার শীল, পার্থ বরণ দাস ও রতন কর্মকার।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সোমবার দিনগত রাতের কোনও এক সময়ে দুর্বৃত্তরা তাদের এলাকায় হানা দিয়ে ৫টি মন্দিরে হামলা চালায়। মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা শিব ও কালী মূর্তিগুলো তারা ভাঙচুর করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ গোয়ালন্দ শাখার সভাপতি নির্মল কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘গোয়ালন্দে হিন্দু পল্লীতে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনাটি লজ্জাজনক। এই এলাকায় হিন্দু-মুসলিম সবাই ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করে। এটি একটি চক্রান্ত। ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড। তবে এটা কোনও সাম্প্রদায়িক হামলা নয়।’ প্রশাসনের কাছে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এর আগে কখনও এই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার সালমা বেগম ক্ষতিগ্রস্থ মন্দিরগুলো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
আরও পড়ুন-
সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার রায় আগামীকাল
/এফএস/