না.গঞ্জ আ.লীগ নেতাদের জাফরউল্লাহর হুঁশিয়ারি

প্রতীক বরাদ্দের পর না.গঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কাজী জাফরউল্লাহনারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের ভেতর থেকেই ষড়যন্ত্র ও নীল নকশা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে দলের কোন নেতা কী করছেন, কারা নীল নকশা কষছেন সব খবর নেত্রী পূর্ণ অবগত আছেন।’

সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নং রেল গেটস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই কথা বলেন কাজী জাফরউল্লাহ।

এর আগে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেদিনও স্থানীয় নেতারা অতীতের সব তিক্ততা ভুলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এর মধ্যে সোমবার দেওয়া হয় প্রতীক বরাদ্দ। প্রতীক বরাদ্দের পর বিকালে অনুষ্ঠিত হয় বৈঠকটি। এসময় কাজী জাফরউল্লাহ স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কে কী ধরনের নীল নকশা করছেন সে সম্পর্কে নেত্রী পূর্ণ অবগত আছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের নেতাদের স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার জয়ের জন্য সব নেতাকর্মীদের ১০০ তে ১০১ ভাগ শ্রম দিতে হবে।  যদি কারও এক ভাগ শ্রম কম থাকে তাহলে সে খবরও নেত্রীর কাছে পৌঁছে যাবে। আপনাদের মধ্যকার জটিলতার কারণেই দলের সভানেত্রী কেন্দ্র থেকে আমাদের পাঠিয়েছেন। কেউ সমস্যা সৃষ্টি করলে নেত্রী কঠিন থেকে কঠিনতর ব্যবস্থা নেবেন।’

তিনি আরও  বলেন,‘নৌকাকে জয়ের জন্য আমি আছি,থাকবো। প্রয়োজনে ২২ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসের টেবিলে শুয়ে থাকবো। সুতরাং এ বার্তা আপনাদের বুঝতে হবে।’

সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘নৌকা ব্যক্তিগতভাবে আমার একার নয়। তাই সবার কাছে আবেদন, আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সব স্তরের নেতাকর্মীরা যেন প্রাণের স্পন্দন থেকে নৌকার জয়ের জন্য ঐক্যজোট হয়ে কাজ করেন।’

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই নৌকা কোনও ব্যক্তি আইভীর না, এই নৌকা শেখ হাসিনার। তাই সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করতে হবে।’

মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি খোকন শাহ বলেন,‘যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করছি তবে নাকে খত দিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে চলে যাব।’

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই,সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ বাদল, সহ সভাপতি রোকনউদ্দিন আহমেদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু, আওয়ামী লীগ নেতা আরজু রহমান ভূঁইয়া, জিএম আরাফাত প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

 

 

/বিটি/এএআর/