শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

গোপালগঞ্জগোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসচাপায় ছাত্রী সুবর্ণা মজুমদার গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।

আহত শিক্ষার্থী সুবর্ণার চিকিৎসার খরচ বহন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার চাকরির ব্যবস্থা, তার পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা, চালককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারাদেশ ও বিচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে গতিরোধক নির্মাণের দাবিতে সোমবার শিক্ষার্থীরা ভিসি’র বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।

এর আগে সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গীপাড়া সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে দেয়।

বেলা সাড়ে ১১টার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বাসভবন ঘেরাও করে। পরে ভিসি অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করেন। এ সভা  শেষে তিনি বিকাল ৪টা দিকে পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন। ভিসির  ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা অন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।

প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসের চাপায় সমাজ বিজ্ঞান (অনার্স) বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুবর্ণা মজুমদার (১৯) গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বাস চালকের শাস্তির দাবিতে রোববার থেকে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আহত ওই ছাত্রীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. নুরউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ‘শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রবিবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে। তাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। ভিসি মহোদয় সভা শেষে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।’

/এফএস/