দুই রাজাকারের ফাঁসির আদেশে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ কিশোরগঞ্জে

কিশোরগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ১৯৭১ সালে কিশোরগঞ্জের রাজাকার মোসলেম প্রধান ও রাজাকার সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন এলাকাবাসীর কাছে ছিল মূর্তিমান আতঙ্ক। জেলার হাওর অধ্যূষিত নিকলী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাদের অত্যাচারের কথা আজো ভুলতে পারেনি মানুষ। মানবতাবিরোধী সেসব অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করায় কিশোরগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে বক্তৃতা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান ও মুক্তিযোদ্ধা বাছির উদ্দিন ফারুকী।কিশোরগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজাকার মোসলেম প্রধান ও পলাতক সৈয়দ মো. হোসেনকে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গুলি বা ফাঁসি দিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।রাজাকার মোসলেম প্রধান

দুই আসামির বিরুদ্ধে থাকা ছয়টি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। ইন্টারপোলের সহায়তা নিয়ে পলাতক আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।কিশোরগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

এ দুজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৯ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয় ট্রাইব্যুনালে। এক বছরের কম সময়ের মধ্যেই এই বিচার শেষে মামলাটি সিএভি রাখেন আদালত। নিকলী উপজেলার কামারহাটি গ্রামের লাভু শেখের ছেলে মো. মোসলেম প্রধান ও ব্র্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মাছিহাতা এলাকার মাওলানা মুসলেহ উদ্দিনের ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর ও নিকলী উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা ও নাশকতায় মেতে উঠেছিল। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার ৬২টি, অপহরণ ও আটক ১১জনকে এবং লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ আড়াই বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ছিল।

/এফএস/ 

আরও পড়ুন- 

ধর্ষণও গণহত্যার শামিল: ট্রাইব্যুনাল
নিয়োগে সুপারিশ না করায় ছাত্রলীগের ইন্ধনে জাবির হলে তালা!