ব্যাপারী না আসায় সংকটে গাজীপুরের লিচু বাগান মালিকরা

বাগানের লিচু পেকে গেলেও ব্যাপারী না আসায় স্বস্তিতে নেই গাজীপুরের লিচু বাগান মালিকেরা। ফলে অনেক বাগান মালিক তাদের লিচু বিক্রি করতে পারছেন না। এ নিয়ে নানা দুঃশ্চিন্তায় হতাশ সময় পার করছেন বাগান মালিকরা।

বাগানে পাকা লিচুসাধারণত নারায়ণগঞ্জ থেকে লিচু ব্যাপারীরা গাজীপুরে এসে বাগান কিনে থাকেন। এবার ফলন কম হলেও বাজারে লিচুর ভাল দাম থাকায় আশাবাদী হয়েছিলেন বাগান মালিকরা। কিন্তু প্রতিবারের মতো নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারীরা না আসায় উৎপাদন খরচ উঠানোই কঠিন হয়ে পড়েছে বাগান মালিকদের জন্য।

লিচু বাগান মালিকরা জানান, কীটনাশক, সার দেওয়া, লিচু পাকার পর বাদুর তাড়ানোর জন্য ভাড়ায় পাহারা বসানোসহ বাগানের খরচ অনেক। কিন্তু এখনও লিচু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ছেন তারা।

কেওয়া গ্রামের ফজলুল হক আকন্দ বলেন, ‘ব্যাপারী না আসায় বাধ্য হয়ে কোনও কোনও বাগান মালিক নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে স্থানীয় বাজারে লিচু বিক্রি করছেন। অন্যান্য বছরের মতো এলাকার বাইরে পাঠাতে পারলে আরও দাম পাওয়া যেত, কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না।’

লিচু বাগানএকই এলাকার বাগান মালিক শাহ্ নূরুজ্জামান আকন্দ জানান, ব্যাপারী না থাকায় এবার তিনি লিচু বাগান বিক্রি করতে পারেননি। পার্শ্ববর্তী টেপিরবাড়ী গ্রামের নাসির উদ্দিন মৃধা জর্জ বলেন, ‘ব্যাপারী না আসায় স্থানীয় মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে লিচু বাগান বিক্রির কথা ভাবছি।’ একই গ্রামের লিচু বাগান মালিক ইকবাল হাসান কাজলও জানান, ব্যাপারী সঙ্কটের কথা।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুবা সুলতানা জানান, বাগান মালিকরা তাদের বাগান বিক্রি করতে পারেনি এরকম কোনও অভিযোগ তাদের কাছে আসেনি। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর বাগান মালিকেরা কিছুটা কম দামেই বাগান বিক্রি করেছেন বলে খবর পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব বাগান মালিকেরা তাদের বাগান বিক্রি করতে পারেননি, তাদের বাগানের লিচু রফতানির বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। কার্যালয়ে গিয়ে কৃষি বিভাগের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

/এমও/