সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এবার রমজানে সিএমপি গত বছরের চেয়ে ৩০ ভাগ বেশি স্বস্তি নিশ্চিত করার টার্গেট নিয়েছে। নিরাপত্তা দেওয়া হবে দুই ধাপে। ১৫ রমজান পর্যন্ত ২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। ১৫ থেকে ৩০ রমজান পর্যন্ত দুই পালায় সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত পুরো নগর জুড়ে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় থাকবে।’
ইকবাল বাহার বলেন, ‘যানজট নিরসনেও একগুচ্ছ পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এবার প্রথমবারের মতো নগরীর অভিজাত শপিংমল মিমি সুপার মার্কেট, সানমার ওশান সিটি, সেন্ট্রাল প্লাজা, চিটাগং শপিং কমপ্লেক্স ও আক্তারুজ্জামান সেন্টারে ডিজিটাল ডিসপ্লে বসানো হচ্ছে। ডিসপ্লেতে মার্কেটের কোথায় পার্কিং খালি আছে সেটা লেখা থাকবে।’
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘গাড়ির চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে টার্গেট করে সেগুলোর বাম পাশে সড়কগুলোতে সার্বক্ষণিক গাড়ি চলাচলে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নগরীর ৪২টি স্পটকে পার্কিং স্পট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বাইরে গাড়ি পার্কিং করলে গাড়ি টো করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইকবাল বাহার আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক ছাত্রছাত্রী নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে অবস্থান নিয়ে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন। তারা ক্রেতাদের মার্কেটের সামনে পার্কিং না করে অন্যত্র পার্কিং করার জন্য বুঝিয়ে বলবেন।’
এ সময় রমজানের শেষ দিকে ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পর ব্যবসায়ীরা জিডি করার মাধ্যমে থানায় টাকা জমা রাখতে পারবেন বলে পুলিশ কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসউদুল হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর উপস্থিত ছিলেন।
/এএ/