মানিকগঞ্জের সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি বাণিজ্য

মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের একাংশমানিকগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে দু’টি সরকারি কলেজ। একটি সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ। অন্যটি সরকারী মহিলা কলেজ। দেবেন্দ্র কলেজে একাদশ শ্রেণিতে মানবিক শাখায় মেয়েদের ভর্তিতে নেওয়া হচ্ছে এক হাজার ৭৫০ টাকা। এর কয়েক শ’ গজ দূরের সরকারী মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে একই শখায় ভর্তিতে নেওয়া হচ্ছে দুই হাজার ৪৫০ টাকা। মহিলা কলেজ শিক্ষার্থী প্রতি ভর্তিতে বেশি নিচ্ছে ৭শ’ টাকা।
সরকারি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বাণিজ্যের বিষয়টি স্বীকার করেছেন সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ আশরাফুন নেচ্ছা। তিনি বলেন, ‘কলেজের বেসরকারি খাতের ৪০ জনের বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন খাতের খরচ মেটানোর জন্য এই বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে।’

মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাজাহান জানান, সরকার নির্ধারিত ফি অনুযায়ী সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের মানবিক শাখায় ছেলেদের জন্য দুই হাজার এবং মেয়েদের জন্য এক হাজার ৭৫০ টাকা এবং ব্যবসা শাখার ছেলেদের জন্য দুই হাজার ও মেয়েদের জন্য এক হাজার ৭৫০ টাকা নিয়ে ভর্তি করা হচ্ছে। এছাড়া বিজ্ঞান শাখায় ছেলেদের জন্য দুই হাজার একশ টাকা এবং মেয়েদের জন্য এক হাজার ৮৫০ টাকা নিয়ে ভর্তি করা হচ্ছে।

অন্যদিকে সরকারি মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে মানবিক শাখা, ব্যবস্যা শাখা ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের চেয়ে ৭শ’ টাকা বেশি।

সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার ও রিমি আক্তারসহ অন্যা শিক্ষার্থীরা জানান, পাশের সরকারি কলেজের চেয়ে বেশি টাকায় মহিলা কলেজে ভর্তি হতে হয়। পাশাপাশি দু’টি সরকারি কলেজে ভর্তি ফি বৈষম্য দূর করা দরকার।

ভর্তিতে বেশি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ও দু’টি কলেজের ভর্তি ফি বৈষম্যের তথ্য জানতে সরকারি মহিলা কলেজ গেলে মাইটিভির স্থানীয় প্রতিনিধি মো.আজিজুল হাকিমের সঙ্গে কলেজের প্রভাষক মুরাদ রায়হান রানা দুর্ব্যবহার করেন। পরে কলেজের প্রভাষকের দুর্ব্যবহারের জন্য অধ্যক্ষ আশরাফুন নেচ্ছা দুঃখ প্রকাশ করেন। অধ্যক্ষ বলেন, ‘এটা মোটেই কাম্য নয়।’ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

/এমএ/এসএমএ/