জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদী পক্ষের ওপর হামলা, আহত ৩

নরসিংদী

নরসিংদীর শিবপুরে জুয়েল (৩৫)হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদী পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে শিবপুর উপজেলার কোদালকাটা নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত দুই জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক জনে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আহতরা হলেন, নিহত জুয়েলের চাচা নরসিংদী জেলা কৃষকলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম হেকিম, চাচাত ভাই রিফাত এবং জুয়েলের ছোট ভাই চপল।

নিহত জুয়েলের চাচী শিবপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা সুলতানা জানান, গত ২৭ মে রাতে শিবপুর উপজেলার ছুটাবন্দ গ্রামের সৈয়দ জুয়েল নিখোঁজ হয়। ৩০ মে মাসে পাশের গ্রামের একটি মুরগীর ফার্মের ময়লার গর্ত থেকে জুয়েলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে শিবপুর থানা পুলিশ। এই ঘটনায় জুয়েলের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম বাদী হয়ে ওই এলাকার আব্দুল কাদির মেম্বার, তার ছেলে ফটিক ও জামাতা লিটনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শিবপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল কাদির মেম্বার ও জামাতা লিটন এবং সন্দেহভাজন অপর জামাতা আনোয়ারকে গ্রেফতার করে। আসারিরা জামিনে মুক্তি  পেয়ে বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে।

তিনি আরও জানান,মঙ্গলবার সৈয়দ সাইফুল ইসলাম হেকিম, চপল ও রিফাতসহ বাড়ির লোকজন কোদালকাটা নামক স্থানে তাদের লটকন বাগান থেকে লটকন পারছিলেন। এসময় আব্দুল কাদির মেম্বার, সাইদ, বাতেন, লিটন ও আনোয়ারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। খবর পেয়ে শিবপুর মডেল থানার এস আই রেজাউল ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠায়। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে শিবপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুর রহমান বলেন,‘খবর পেয়ে আমারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এক পক্ষের হামলা নয়। দুই পক্ষের মারামারিতে তিন জন আহত হয়েছে। আরও তদন্ত করা হবে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: ‘বেড়াতে এসেছিলাম, ভাইয়ের লাশ নিয়ে ফিরছি’