সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ চত্ত্বর থেকে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র ব্যানারে মিছিলটি বের হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি শহীদ মিনার, প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে রয়েছেন। ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক রাশেদা আখতার, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক বশির আহমেদ, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল জব্বার হাওলাদার, সহকারী প্রক্টর মো. মাহবুবুল মোর্শেদ প্রমুখ শিক্ষক মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
তারা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাঙচুরে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার তৃতীয় দিনের মতো প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছেন পাঁচ শিক্ষার্থী। এতে অনশনরত তিন শিক্ষার্থী সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অনশনের মুখে রবিবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে গত ২৭ মে সড়ক অবরোধকালে পুলিশি হামলার জেরে উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই রাতেই ১২ ছাত্রীসহ ৪২ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন বিকালে জামিনে মুক্তি পান তারা।
/বিএল/
আরও পড়ুন:
জাবিতে অনশনের তৃতীয় দিনে ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ