জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফরহাদুল আলম এক পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘জেলায় বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি কুকুর রয়েছে। বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরও বেশি। এই কুকুরের ৯৯ শতাংশই বেওয়ারিশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারিভাবে কুকুরের নির্দিষ্ট কোনও পরিসংখ্যান নেই। তবে সরকারি হিসেবে গত এক বছর ৪ মাসে জেলায় কুকুর বৃদ্ধি পেয়েছে ২২ হাজার ৭০০টি।’
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পৌর এলাকায় যে পরিমাণ কুকুর রয়েছে আর রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মাধ্যমে কুকুরকে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।’ মানিকগঞ্জ পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, ‘হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে আমাদের পক্ষে কুকুর নিধন করা সম্ভব নয়।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ‘অভয়ারণ্য বাংলাদেশ এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে কুকুর নিধন বন্ধে হাইকোর্টে একটি রিট আবদেন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশন কুকুর নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০১৫ সালে মানিকগঞ্জ জেলায় কুকুর ছিল ২৭ হাজার ৩০০। ‘মাক্স ডগ ভ্যাকসিন’ প্রকল্পের আওতায় জেলায় ওই বছরের অক্টোবরে ২২ হাজার ৭৭৭টি কুকুরকে দুই বছর মেয়াদি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
মানকিগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক লুৎফর রহমান জেলা সিভিল সার্জন ডা. খুরশীদ আলমের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘হাসপাতালে বর্তমানে কুকুরের কামড়ের পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। গত মাসে ২৪০ ভায়াল ভ্যাকসিন বরাদ্দ এসেছে। ডাক্তার লুৎফর রহমান বলেন, ‘কুকুরের উপদ্রব খুবই বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মুহূর্তে কুকুরের জন্মনিয়ন্ত্রণ করলে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকানো যাবে।’
/এএম