রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, সোমবার বিকালে স্থানীয় খায়রুল ইসলাম (৩০) নামে এক ব্যক্তি রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ৫নং সেক্টরের লেকের পাশে একটি ঝোপের ভেতরে যান। এসময় সে লেকের ওপরে পানির ড্রেনের মধ্যে প্লাস্টিকের কাগজে মোড়ানো অস্ত্র দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে সে তার মামা স্বপনকে বিষয়টি জানায়। স্বপন ঘটনাটি রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পানির ড্রেন থেকে প্লাস্টিকের কাগজে মোড়ানো ৬টি এসএমজি উদ্ধার করে । পরে ওই এলাকায় আবারও তল্লাশি চালানো হয়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুাপার মো. ফারুক হোসেন জানান, এ নিয়ে পূর্বাচল লেক থেকে মোট ৭৪টি এসএসসি উদ্ধার করা হলো। লেক পাড়, ঝোপঝাড় ও আশেপাশে আরও অস্ত্র আছে কিনা সেটি তল্লাশি চালিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মে রূপগঞ্জ থানার এএসআই শাহজাহান খান দাউদপুর ইউনিয়নের বাগলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোসলেউদ্দিনের ছেলে মাদক কারবারি শরীফের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে একটি এসএমজি উদ্ধার করেন। ওইদিন রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে শরীফকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১ জুন বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ জুন শুক্রবার সকালে ৩নং সেক্টরের ব্লু-সিটি নামে একটি আবাসন কোম্পানির বালুর ভেতর থেকে ২টি এসএমজি , পূর্বাচলে ৫নং সেক্টরের লেকের পানি থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ৬২টি এসএমজি, ২টি রকেট লাঞ্চার, ৪২টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩টি হাই ফ্রিকোয়েন্সি নন ট্রেকার ওয়াকিটকি, ৫টি পিস্তল, ৬০ টি ম্যাগাজিন, বিপুল পরিমান গুলি, ডেটোনেটর, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
ওই দিন রাতেই উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের কুড়িয়াইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুরাদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ৩ জুন শনিবার বিকালে শীতলক্ষ্যা নদীর বাসুন্দা এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহায়তায় ৫টি এসএমজি উদ্ধার করা করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছের সিআইডি ঢাকা অঞ্চলের সিনিয়র এ এস পি এহসান উদ্দিন চৌধুরী।
/এআর/