গাজীপুরে গৃহবধূকে রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ

গাজীপুরগাজীপুরের কাপাসিয়ায় পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় সোমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সজীবের বিরুদ্ধে। এ ব্যপারে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় স্বামীর ভাই কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম এবং স্বামীর অন্য স্বজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

আহত গৃহবধূ সোমা আক্তার জানান, তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। গত ১০ মাস ধরে তার স্বামী টঙ্গীর এক মেয়ের সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্ক হয়। পরে ওই মেয়েকে বিয়ে করার জন্য বাড়িতে কিছুদিন আগে আয়োজনও করা হয়েছিল। এসব কাজে বাধা দেওয়ায় তার স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর আগে একাধিকবার নির্যাতন করায় তার মা রানী বেগম শনিবার কাপাসিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

গৃহবধূ জানান, ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল সাতটার দিকে সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে তার সঙ্গে জ্যাঠাতো ভাসুর মো. জহিরুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় স্বামীর সমর্থনে ভাসুর তাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তার ভাসুর, ভাই দুললাসহ লোকজন নিয়ে তাকে মাথায় কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে।

সোমার মা রানী বেগম জানান, মেয়ে আহত হওয়ার খবর পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তার মেয়েকে তিনি উদ্ধার করেন। পরে তাকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কোপানো ও বেধড়ক পেটানোয় তার মেয়ের মাথায় একাধিক সেলাই করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি তার মেয়ের স্বামী, ভাসুর এবং তাদের সহযোগীদের অভিযুক্ত করে কাপাসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপর হুমকির ভয়ে তার মেয়েকে গাজীপুর জেলার বাইরে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখেন।

অভিযুক্ত ভাসুর মো. জহিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনা তাদের একান্ত পারিবারিক বিষয়। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ ঘটনায় তাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না।

এ ব্যাপারে তরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোবারক হোসেন লালন বলেন, পারিবারিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে। জহিরুল ইসলাম এ ঘটনায় কোনওভাবেই জড়িত নয়।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, একজন কর্মকর্তা দিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আহতকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি একান্তই পারিবারিক হওয়ায় অভিযুক্তরা আপসরফার জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু আপসরফার কোনও তথ্য না পেয়ে সোমবার বিকালে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে।