স্থানীয় কৃষকরা জানান, বংশ পরম্পরায় সবজির চারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত শিবপুরের বাঘাব ইউনিয়নের কৃষকরা। বাঘাব ইউনিয়নের খড়ক মারা, ব্রাহ্মন্দী, লামপুর, কুন্দারপাড়া, রংপুর এলাকার রয়েছে সবজির চারা উৎপাদনের খ্যাতি। বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি, মরিচ, লাউ, শসা, টমেটো, পেঁপে, করলাসহ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা উৎপাদন করে থাকেন কুন্দারপাড়া গ্রামের দেড় শতাধিক কৃষক। প্রতি বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিন বার বীজ অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে উৎপাদন করা হয় এসব চারা।
ব্রাহ্মন্দী গ্রামের সবজির চারা উৎপাদনে জড়িত কৃষক সুলমান মিয়া বলেন, ‘দুই বছর ধরে চার জাতের ফুলকপি, জালি, টমেটো, ও মরিচের চারা উৎপাদন করে বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। এখন বীজতলা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি।’
একই গ্রামের মফিজ উদ্দীন বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চারা উৎপাদন ভালো হয়, দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে অনেক পুঁজির দরকার পড়ে।’
কুন্দারপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদ মিয়া বলেন, ‘এ বছর এক বিঘা জমিতে দুই লাখ টাকা খরচ করে সবজির চারা লাগিয়েছি। এই চারা বিক্রি করে ৮ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।’
নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. লতাফত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে সবজির চারা উৎপাদন করে নিজেদের জমির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যত্র বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন কৃষকরা। সবজির চারা উৎপাদন বাড়াতে প্রতি বছরই কৃষকদের দক্ষতা অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা দেওয়া গেলে অন্যান্য কৃষকরাও চারা উৎপাদনে আগ্রহী হবেন।’